Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd মে ২০২৪

প্রতিমন্ত্রী

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

 

জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: কাজী আব্দুল আওয়াল, মাতা: হাসিনা বেগম। পিতা কাজী আব্দুল আওয়াল পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে শুরু থেকেই জনগণের সেবা করার ব্রত নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং তারই ধারাবাহিকতায় পুঠিয়া-দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি বৃহত্তর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সাথে সাথে পুঠিয়া উপজেলায় (তৎকালীন পুঠিয়া থানা) আওয়ামী লীগ সংগঠন তৈরী করে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। কাজী আব্দুল আওয়াল পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বহুবছর দায়িত্ব পালন করেন এবং সংগঠন সুসংহত করেন। বহু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি না হয়ে দলকে অধিক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বারবার বিভিন্ন জনকে সভাপতি করে তিনি নেপথ্যে থেকে সকলকে সহযোগিতা করেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নিকটতমদের মধ্যে মরহুম কাজী আব্দুল আওয়ালও ছিলেন একজন। তৎকালীন সময়ের রাজনৈতিকসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ছোটবেলা থেকেই  তিনি রাজনৈতক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পান এবং পিতার সাহচর্যে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেন।

ছাত্রজীবন থেকেই জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৭৮-১৯৮০ সময়কালে রাজশাহীর নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে পড়ার সময় কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। সেই সময় তিনি কলেজ সংসদ নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলেন। ১৯৮০-১৯৮৭ খ্রি. সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল কমিটি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য ছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি পুলিশ ও আওয়ামী বিরোধী ক্যাডারদের নির্যাতনের শিকার হন। সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে বিএসসি (সম্মান)সহ এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদকের দায়িত্ব ২০১৯ সাল থেকে সফলতার সাথে পালন করছেন। তৎপূর্বে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন থেকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, কানাডা, জার্মান, ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, চীন, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, মিশর, কোরিয়া, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ।

ব্যক্তিজীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মিনী মনোয়ারা বেগম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে বিএসসি (সম্মান)সহ এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। চার ভাই ও একবোনের মধ্যে মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) সবার বড়। তিনি কর্মজীবনে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। রপ্তানিমুখী একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তিনি সফল চেয়ারম্যান এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর। এসব প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রায় ৬০০০ (ছয় হাজার) জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন।